রোগীর নাম আনোয়ার হোসেন। একটি সন্তান এবং বাবা মা সহ পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের জীবন। আনোয়ার হোসেন ঢাকার গাজীপুরে একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করতো। ধীরে ধীরে শারীরিক অসুস্থতার কারনে পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে দেয়। পরবর্তী জানতে পারে দুটি কিডনি ড্যামেজ হতে শুরু করেছে। এভাবে কিছুদিন চলার পরে জমানো কিছু অর্থ দিয়ে একটি মুদি খানার দোকান দেয়। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে একটা সময়ে সেটাও আর চালিয়ে যেতে পারে নাই। বাবা ছোট্ট একটি সরকারি চাকরি করতেন অনেক বছর আগেই অবসররে গেছেন। এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাবার উপর নির্ভরশীল। রোগীর বড় ভাই অনেক বড় ব্যবসায়ী কিন্তু আলাদা সংসার। কোন প্রকার খোঁজ নেয়না বললেই চলে। বর্তমানে চিকিৎসা চালানোর মত তেমন কোন অর্থের জোগান নেই। বাবার কাছ থেকে যেটুকু জমি পেয়েছিল সেটাও বিক্রি করেছে চিকিৎসার জন্য। এখন মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ICAS এর খোঁজ পেয়ে আমাদের ভলেন্টিয়ার মাহাদী হাসান আরিফ এর মারফৎ কিডনি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যে আবেদন করায় আমারা তাকে আর্থিক সাহায্য করি।
April 2024.